বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো নেগেটিভ মার্কিং। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট নম্বর কাটা যায়, ফলে অনুমানভিত্তিক উত্তর দিতে গিয়ে অনেক সময় নম্বর বাড়ার পরিবর্তে কমে যায়। তাই নেগেটিভ মার্কিং সামলাতে হলে কৌশলী হতে হবে। নিচে সহজ ভাষায় কিছু কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হলো –
১. যেটা ভালোভাবে জানেন, সেটাই আগে উত্তর দিন
প্রশ্নপত্রে আগে সেসব প্রশ্ন সমাধান করুন যেগুলো নিয়ে আপনার ১০০% আত্মবিশ্বাস আছে। এতে ভুলের সম্ভাবনা কমবে এবং আপনার মনোবলও বাড়বে।
২. অনুমানভিত্তিক উত্তর এড়িয়ে চলুন
যে প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে একেবারেই ধারণা নেই, সেটাতে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্ধভাবে উত্তর দিলে নেগেটিভ মার্কিংয়ের ঝুঁকি বেশি।
৩. দুইটি অপশনে সীমিত হলে কৌশল ব্যবহার করুন
কখনো কখনো সঠিক উত্তর নিয়ে দ্বিধায় পড়া স্বাভাবিক। যদি চারটি অপশনের মধ্যে ২টি বাদ দিতে পারেন, তাহলে বাকি অপশন থেকে সতর্কভাবে আন্দাজ করে উত্তর দিতে পারেন। এতে সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
৪. সময় বাঁচাতে প্রশ্ন বাছাই করুন
সব প্রশ্ন সমাধান করার চেষ্টা করলে তাড়াহুড়ো হয়ে ভুল বেশি হয়। বরং সময় দেখে প্রশ্ন বাছাই করুন। সহজ প্রশ্ন আগে শেষ করুন, কঠিনগুলো পরে রাখুন।
৫. নোট ও শর্টকাট ব্যবহার করুন
প্রস্তুতির সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, তারিখ, ফর্মুলা, সংবিধানের ধারা ইত্যাদি নোট আকারে লিখে রাখুন। পরীক্ষার আগে দ্রুত দেখে নিতে পারবেন এবং ভুল কম হবে।
৬. মডেল টেস্ট দিয়ে অভ্যাস করুন
প্রস্তুতির সময় নিয়মিত মডেল টেস্ট দিন। এতে নেগেটিভ মার্কিংয়ের ঝুঁকি কেমন হতে পারে তা আগে থেকেই বুঝতে পারবেন এবং নিজের উত্তর দেওয়ার ধরন ঠিক করতে পারবেন।
৭. শান্ত থাকুন, তাড়াহুড়া করবেন না
পরীক্ষার হলে চাপের কারণে অনেকেই প্রশ্ন না পড়ে উত্তর দেন। এতে ভুল হয়েই যায়। তাই প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে তারপর উত্তর দিন।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং এড়ানো সম্ভব নয়, তবে কৌশলী হলে এর প্রভাব কমানো যায়। যেটা নিশ্চিত জানেন সেটাই উত্তর দিন, অনুমান কম করুন, নিয়মিত অনুশীলন করুন – এটাই মূল কৌশল। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে নেগেটিভ মার্কিং সামলে ভালো স্কোর করা কঠিন কিছু নয়।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও সহজ করতে MCQ Bank BD অ্যাপ কাজে লাগাতে পারেন।
বাংলাদেশের সরকারি চাকরির খবর জানতে ভিজিট করুন Government Job News ।